বৃত্তির টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি-সংশোধনের সময় বাড়ল

বৃত্তি পেলেও তথ্য অন্তর্ভুক্ত না করায় বা ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করায় টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন ও অন্তর্ভুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন অর্থবছরে রাজস্ব খাতে বৃত্তি পেয়েও যেসব শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়নি, তাদের তথ্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সংশোধন বা অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক আদেশে এসব কথা বলা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অর্থবছরের বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি, সংশোধন, একাধিক এন্ট্রি নিষ্ক্রিয়করণে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির জন্য পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া, নতুন ইউজার তৈরি, বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা এমআইএসে অন্তর্ভুক্ত করায় সমস্যা হচ্ছে বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় এমআইএসে তথ্য এন্ট্রি, সংশোধন, একাধিক এন্ট্রি নিষ্ক্রিয়করণের জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।

সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থী নিয়মিত অধ্যয়নরত রয়েছে নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। দেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একক বা মা-বাবার সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। শিক্ষার্থীর নামের ব্যাংক হিসেব নম্বর ছাড়া মা-বাবার ব্যাংক হিসাব নম্বর দেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম অভিন্ন হতে হবে। যৌথ নামের ব্যাংক হিসাব বা স্কুল হিসাব খোলা হলে এমআইএসে তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নামের স্থলে উভয় নাম এন্ট্রি করতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্য হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে তা পূরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আইডি-রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম ও বছর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। বৃত্তির ক্যাটাগরি ( মেধা বা সাধারণ) সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর ও শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংক হিসাব সচল থাকতে হবে। তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।