উত্তর কোরিয়া আবার দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে ময়লা ভর্তি বেলুন পাঠাল

সিউল:

উত্তর কোরিয়া শনিবার দক্ষিণের দিকে আবর্জনা বোঝাই বেলুনগুলির একটি নতুন রাউন্ড পাঠিয়েছে, সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণে পিয়ংইয়ং-বিরোধী কর্মীরা বলেছে যে তারা সীমান্তের ওপারে নেতা কিম জং উনের বিরুদ্ধে লিফলেট সহ বেলুন উঁচিয়েছে।

সিউলের সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়া থেকে একটি নতুন নোংরা সালভোর আগমনের জন্য সতর্ক থাকার কথা বলার কয়েক ঘন্টা পরে এই ঘোষণাটি এসেছে, কারণ টিট-ফর-ট্যাট বেলুন ব্লিটজ আবারও উত্থিত হয়েছে।

“উত্তর কোরিয়া আবার ভাসছে (সন্দেহজনক) বেলুনগুলি দক্ষিণের দিকে আবর্জনা বহন করে,” জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ একটি বিবৃতিতে বলেছে, জনসাধারণকে কর্তৃপক্ষকে যে কোনও বেলুন সম্পর্কে রিপোর্ট করতে এবং তাদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে৷

সিউল নগর সরকার, সেইসাথে গিয়াংগি প্রদেশের কর্মকর্তারাও শনিবার বাসিন্দাদের কাছে বেলুন সম্পর্কে সতর্ক করে একই ধরনের পাঠ্য সতর্কতা পাঠিয়েছে।

উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে দুই তরঙ্গে শত শত বেলুন পাঠিয়েছে দক্ষিণে ট্র্যাশের ব্যাগ সহ, এগুলিকে পিয়ংইয়ং-বিরোধী প্রচারণা বেলুনগুলির প্রতিশোধ হিসাবে বর্ণনা করে অন্য পথে পাঠানো হয়েছে।

পিয়ংইয়ং বলেছিল যে এটি গত রবিবার বন্ধ হবে কিন্তু কয়েকদিন পরে, “ফাইটার্স ফর ফ্রি নর্থ কোরিয়া” নামক একটি দক্ষিণ কোরিয়ার দল বলেছে যে তারা 10টি বেলুন পাঠিয়েছে যার মধ্যে কে-পপ সঙ্গীত রয়েছে এবং 200,000টি লিফলেট কিমের শাসনের নিন্দা করে।

উত্তর কোরিয়ার দলত্যাগকারীদের সমন্বয়ে গঠিত আরেকটি দলও বলেছে যে তারা শুক্রবার 100টি বেলুন পাঠিয়েছে, যেখানে 100টি রেডিও, 200,000টি পিয়ংইয়ং-বিরোধী লিফলেট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বক্তৃতা সম্বলিত থাম্ব ড্রাইভ রয়েছে।

দ্বিতীয় গ্রুপের নেতা জ্যাং সে-ইউল শনিবার এএফপিকে বলেছেন যে তার সংস্থা তার বেলুন প্রচার বন্ধ করবে না, “কিম জং উন আবার আবর্জনা বহনকারী বেলুন পাঠান কি না”।

গত বছর, দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত একটি 2020 আইনকে বাতিল করে দেয় যা পিয়ংইয়ং-বিরোধী প্রচার পাঠানোকে অপরাধী করে, এটিকে বাক স্বাধীনতার একটি অযৌক্তিক সীমাবদ্ধতা বলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ায় অ্যাক্টিভিস্টদের বেলুন পাঠানো বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে এখন কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রক শনিবার বলেছে যে বিষয়টি গত বছরের আদালতের রায়ের “বিবেচনায় যোগাযোগ করা হচ্ছে”।

কিমের শক্তিশালী বোন কিম ইয়ো জং গত সপ্তাহে বেলুন নিয়ে অভিযোগ করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে উপহাস করে বলেছিলেন যে উত্তর কোরিয়ারা কেবল তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যবহার করছে।

‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ’

গত সপ্তাহে, উত্তর কোরিয়ার বেলুনগুলি দক্ষিণের বেশ কয়েকটি স্থানে অবতরণ করেছে এবং সিগারেটের বাট, কার্ডবোর্ডের স্ক্র্যাপ এবং বর্জ্য ব্যাটারির মতো আবর্জনা বহন করতে দেখা গেছে।

প্রতিক্রিয়া হিসাবে, দক্ষিণ কোরিয়া উত্তরের সাথে 2018 সালের সামরিক চুক্তি সম্পূর্ণরূপে স্থগিত করেছে, যা প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে ছিল।

সিউলের কর্তৃপক্ষ উত্তরের বেলুনগুলিকে “নিম্ন শ্রেণীর” কাজ হিসাবে নিন্দা করেছে এবং পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছে যে এটি বলে যে পিয়ংইয়ং “অসহনীয়” বলে মনে করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মীরা দীর্ঘকাল ধরে উত্তর দিকে বেলুন পাঠিয়েছে, পিয়ংইয়ং-বিরোধী প্রচার, নগদ অর্থ, চাল এবং থাম্ব ড্রাইভে কোরিয়ান টিভি সিরিজে ভরা।

এগুলি সর্বদা উত্তর কোরিয়াকে ক্ষুব্ধ করে, যার সরকার তার জনগণ দক্ষিণ কোরিয়ার পপ সংস্কৃতিতে অ্যাক্সেস পাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল।

দক্ষিণ কোরিয়ার আরেকটি কর্মী গোষ্ঠী কুয়েনসেম এএফপিকে জানিয়েছে যে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছে সাগরে 500টি প্লাস্টিকের বোতল নিক্ষেপ করেছে।

বোতলগুলিতে চাল, নগদ টাকা এবং একটি ইউএসবি ড্রাইভ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টিভি সিরিজ “ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ” – যেটিতে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ধনী উত্তর কোরিয়ার উত্তরাধিকারী এবং উত্তর কোরিয়ার সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রোম্যান্স দেখানো হয়েছে৷

গ্রুপটি 2015 সাল থেকে প্রতি মাসে দুবার উত্তরে এই জাতীয় উপকরণ পাঠাচ্ছে।

গোষ্ঠীর নেতা পার্ক জং-ওহ শনিবার এএফপিকে বলেছেন, “অনাহারে থাকা উত্তর কোরিয়ানদের সাহায্য করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে যা করছি তা করছিলাম।”

ডুয়েলিং প্রোপাগান্ডা নিয়ে উত্তেজনা অতীতে নাটকীয় ফ্যাশনে ফুটে উঠেছে।

2020 সালে, উত্তর-বিরোধী লিফলেটগুলিকে দোষারোপ করে, পিয়ংইয়ং একতরফাভাবে সিউলের সাথে সমস্ত সরকারী সামরিক এবং রাজনৈতিক যোগাযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং সীমান্তের পাশে একটি অব্যবহৃত আন্ত-কোরিয়ান যোগাযোগ অফিস উড়িয়ে দেয়।

(শিরোনাম ব্যতীত, এই গল্পটি NDTV কর্মীদের দ্বারা সম্পাদনা করা হয়নি এবং একটি সিন্ডিকেটেড ফিড থেকে প্রকাশিত হয়েছে।)