[ad_1]
গুজরাটের সুরাট শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও সাধারণ মানুষকে হতবাক করেছে। সুরাটের নিউ সিভিল হাসপাতালে একজন রোগীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেও ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করেই তার হৃদস্পন্দন শুরু হয়। এই ঘটনাটি শুধু হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্যই নয়, গোটা সুরাট শহরের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
আসলে, 45 বছর বয়সী রাজেশ প্যাটেল, অঙ্কলেশ্বরের বাসিন্দা, তার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পরে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সুরাট নতুন সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন যে রোগী গুরুতর হার্ট ফেইলিউরে ভুগছিলেন এবং তার অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও ইসিজি রিপোর্টে 'স্টেট লাইন' আসার পর রোগীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে উপস্থিত পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি শুরু করলে চিকিৎসকরা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এছাড়াও পড়ুন: 'শুষ্ক রাজ্য' গুজরাটে মদের পার্টিতে পুলিশের অভিযান, ১৩ আফ্রিকান ছাত্রসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার
কিন্তু এই ঘোষণার প্রায় 15 মিনিট পরে, এমন কিছু ঘটে যা সবাইকে হতবাক করে। রোগীর শরীরে সামান্য নড়াচড়া দেখা যায় এবং হঠাৎ মনিটরে হার্টবিট লাইন আবার চলতে শুরু করে। চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ অ্যাকশনে আসেন এবং রোগীকে আবার আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। দলটি জরুরি চিকিৎসা শুরু করে এবং ধীরে ধীরে রোগীর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ উমেশ চৌধুরী বলেন, আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম একজন রোগীকে মৃত ঘোষণা করার পর তিনি নিজেই জীবিত হলেন। আমরা অনেকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট রোগীদের সিপিআর দিয়েছি, কিন্তু কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই হৃৎপিণ্ড নিজে থেকে স্পন্দিত হওয়া খুবই বিরল ঘটনা।
শ্বাসকষ্ট ছিল না, হৃদস্পন্দন ছিল না
মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজেশ প্যাটেল গুরুতর হার্ট ফেইলিউর এবং উচ্চ সুগার লেভেলে ভুগছিলেন। চিকিৎসকরা জানান, তাকে যখন মৃত ঘোষণা করা হয়, তখন শারীরিক সব চিহ্ন চলে গেছে। শ্বাসকষ্ট ছিল না, হৃদস্পন্দন ছিল না। তা সত্ত্বেও, ১৫ মিনিট পর তার হৃদপিণ্ড আবার কাজ করতে শুরু করে, যাকে চিকিৎসকরা বলছেন 'স্বতঃস্ফূর্ত কার্ডিয়াক রিভাইভাল'।
বর্তমানে রাজেশ প্যাটেলকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের একটি দল ২৪ ঘণ্টা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, তবে আগামী কয়েক দিন তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
—- শেষ —-
[ad_2]
Source link