[ad_1]
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ বুধবার বিতর্কিত ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে। উত্তাল অধিবেশনের মধ্যে, এই বিলটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে সংসদে পাস হয়। এতে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের ক্ষমতা বহুগুণে বাড়তে চলেছে।
এই সাংবিধানিক সংশোধনীর আওতায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি হবে, যা অসীম মুনিরের দখলে থাকবে। এর পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সাথে পরামর্শ করে জাতীয় কৌশলগত কমান্ডের প্রধান নিয়োগ করবেন এবং এই প্রধান হবেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে হবে। এর পাশাপাশি সাংবিধানিক আদালত গঠন করা হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে এই বিল নিয়ে বিতর্ক চলছিল। মঙ্গলবার এটি জাতীয় পরিষদে উপস্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার। জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক বলেছেন যে এই বিলের পক্ষে 234 ভোট পড়েছে এবং এর বিপক্ষে চারটি ভোট পড়েছে। এর আগে এটি সিনেটে অনুমোদিত হয়েছিল।
বিরোধীদের বয়কটের মধ্যে বুধবার জাতীয় পরিষদ সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিলের ৫৯টি ধারা অনুমোদন করেছে। এদিকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড ইমরান খান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সদস্যরা সংসদে এই বিলের কপি ছিঁড়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের দিকে ছুড়ে ফেলে।
অসীম মুনির সীমাহীন ক্ষমতা থাকবে
এই সংশোধনীর আওতায় পাকিস্তানে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড (এনএসসি) গঠিত হবে। এই কমান্ড পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। এতদিন এই দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) কাছে থাকলেও এখন থেকে এই দায়িত্ব থাকবে এনএসসির কাছে। এনএসসির কমান্ডার প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ দেওয়া হলেও সেনাবাহিনী প্রধানের (সিডিএফ) সুপারিশেই এই নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই পদটি শুধু সেনা কর্মকর্তাদের দেওয়া হবে। এর ফলে দেশটির পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এখন পুরোপুরি সেনাবাহিনীর হাতে চলে যাবে।
এই সংশোধনীর অধীনে, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফিল্ড মার্শাল, বিমান বাহিনীর মার্শাল এবং ফ্লিটের অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি দেওয়ার অধিকার পাবে। ফিল্ড মার্শালের পদ ও সুযোগ-সুবিধা আজীবন থাকবে, অর্থাৎ ফিল্ড মার্শাল সারা জীবন ওই পদে থাকবেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে মুনীর সারাজীবন নিজেকে ফিল্ড মার্শাল রাখার ব্যবস্থা করেছেন।
—- শেষ —-
[ad_2]
Source link