'ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকা-পাকিস্তানের খেলা…', শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা যা বললেন – sheikh hasina death sentence bangladesh humanity crimes 2024 বিশেষজ্ঞরা ntcprk দেখেছেন

[ad_1]

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপনকারী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত পাঁচটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া আদালতের।

2024 সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও মৃত্যুর জন্য আইসিটি দায়ী শেখ হাসিনা দায়ী করা হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মুর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণাকালে বলেন, শেখ হাসিনা ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

আদালত বলেছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই আন্দোলন দমন করতে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ জারি করেছিলেন। আদালত বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৪০০ মানুষ মারা যায় এবং প্রায় ২৪ হাজার আহত হয়। শেখ হাসিনাকে এসব হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনাল আদালতের সিদ্ধান্তে কী বললেন বিশেষজ্ঞরা?

বাংলাদেশ আদালতের এই সিদ্ধান্তে বিশেষজ্ঞরা ক্ষোভ প্রকাশ করে একে বেআইনি আখ্যা দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ ও সাবেক কূটনীতিকরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে আদালত তাড়াহুড়ো করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে তার পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগও দেয়নি।

সুপরিচিত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডঃ ব্রহ্ম চেল্লানি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিখেছেন অন্তর্বর্তী সরকার এবং এর পৃষ্ঠপোষকরা তাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করার জন্য আইনী প্রক্রিয়াটিকে একটি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। এই সিদ্ধান্ত কোন বিচারিক ফলাফল নয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গণনাকৃত কাজ।

তিনি আরও লিখেছেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়া দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হাসিনার আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দলটিকে নিষিদ্ধ করে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ইতোমধ্যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এখন তারা রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকে পড়া বিচারকদের ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে হাসিনার সমর্থনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।

আদালত প্রমাণ দেননি, প্রশ্ন তুলেছেন কূটনীতিক

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার বীনা সিক্রিও ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আইসিটিকে ক্যাঙ্গারু কোর্ট আখ্যায়িত করে বলেন, তাড়াহুড়ো করে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

Aaj Tak-এর সাথে কথা বলার সময়, তিনি এই সিদ্ধান্তের উপর প্রশ্ন তুলে বলেন, 'আদালত বলেছে যে আন্দোলনের সময় 1,400 জন নিহত হয়েছিল… এই পরিসংখ্যানগুলি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? আদালত বলেন, নিহত ১,৪০০ জন কারা? আদালত বলেন, আন্দোলনের সময় কারা কারাগারে বন্দি? কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, 'এটা একটা তাড়াহুড়ার সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমনটি কখনো হয়নি।

‘হাসিনা যে দোষী সেই কাজই করছেন ইউনুস’

শেখ হাসিনার সাজা ঘোষণার আগে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তার সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে ক্রুড বোমা নিয়ে হামলা চালাচ্ছে। তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের খবর নেই। এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইউনূসের সরকার সিদ্ধান্তের দিন অর্থাৎ সোমবার ঢাকায় বিপুল সংখ্যক সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে।

ইউনূসের সরকার নিরাপত্তা কর্মীদের 'হত্যার জন্য গুলি করার' নির্দেশ দিয়েছে, অর্থাৎ যারা সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ ছড়ায় তাদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ রয়েছে।

ইউনূসের এই আদেশের কথা উল্লেখ করে বীনা সিক্রি বলেন, 'ইউনুস সরকার শুধু নির্দেশ দিয়েছে যে, যে বিশৃঙ্খলা ছড়াবে, তাকে দেখলেই গুলি করে মেরে ফেলো… এখন শেখ হাসিনাকে শুধুমাত্র অর্ডার টু কিলের মামলায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যে অভিযোগে হাসিনাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, ইউনূসও একই নির্দেশ দিচ্ছেন। এটি একটি বেআইনি সিদ্ধান্ত।

'বাংলাদেশে আমেরিকা আর পাকিস্তান গেম খেলছে'

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় মেস্টন বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আজতকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আমেরিকা ও পাকিস্তানের হয়ে খেলা হচ্ছে। দুই দেশই চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের আলাদা প্রদেশে পরিণত হোক। তারা বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে উগ্র ইসলামি দেশ হিসেবে প্রস্তুত করতে চায়।

প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অশোক সজ্জনহার বলেছেন যে তিনি ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে বিস্মিত নন কারণ এর সমস্ত সদস্য ইউনূস সরকারের সমর্থক।

আজতক-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'এটা একেবারেই প্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত, হাসিনা ও তার ছেলে আগেই বলেছিলেন একই ধরনের সিদ্ধান্ত আসবে। ট্রাইব্যুনালের সকল সদস্য ইউনূসের সরকার কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছিল। ইউনূস যা চাইবেন আদালতের বিচারকরা তাই করবেন। যতদূর প্রমাণ পাওয়া যায়, শেখ হাসিনাও বহুবার যারা মারা গেছেন তাদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পেশ করা হয়নি যে তাকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

—- শেষ —-

[ad_2]

Source link

Leave a Comment