চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান, 15 হাজারের বেশি বোতল নকল বিদেশী মদ পাওয়া গেছে, আটজন গ্রেপ্তার – চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান 15000 বোতল নকল বিদেশি মদের হুইস্কি ব্র্যান্ডি রাম ভদকা জিন পাওয়া গেছে lclg

[ad_1]

হাজারীবাগ জেলার চৌপরাণ এলাকায় মদ চোরাকারবারিদের ক্রমবর্ধমান তৎপরতা ঠেকাতে পুলিশ এমন একটি পদক্ষেপ নিল যা পুরো এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে, পুলিশ তান্দিহ ও পরসাত্রী গ্রাম থেকে মোট 357টি বাক্স অর্থাৎ 15,936 বোতল নকল বিদেশী মদ জব্দ করে। এছাড়াও, এই মদ চোরাচালান নেটওয়ার্কের সাথে জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধরা পড়া চোরাকারবারীরা ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন জেলার, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে মদের সরবরাহের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি স্করপিও, একটি সুইফট ডিজায়ার, একটি ড্যাটসান গো প্লাস এবং একটি নিসান টেরানো সহ চারটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এটি পুলিশের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সাফল্য বলা হচ্ছে। চৌপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতে, বেশ কিছু দিন ধরেই এই এলাকায় একটি বড় গ্যাং সক্রিয় হওয়ার খবর পাচ্ছিল পুলিশ। কিন্তু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা সদর থেকে আসা একটি গোপন তথ্যে পুরো খেলাটাই পাল্টে যায়। তথ্য ছিল যে তান্ডদিহের বাসিন্দা কুমার চন্দনের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে জাল বিদেশী মদ মজুত করা হয়েছে, যা রাতে বিহারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। চেকপোস্টের চোখ এড়ানোর জন্য ছোট ছোট যানবাহনে ভাগ করে মদের চালান পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। খবর পেয়ে গভীর রাতে ডিএসপি অজিত কুমার সুবিমল বিশেষ অভিযানকারী দল গঠন করেন। এই দলে ছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর চন্দ্রশেখর কুমার এবং চৌপারান থানার ইনচার্জ সরোজ সিং চৌধুরী। তার নেতৃত্বে দলটি ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যায়।

অভিযান চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই চোরাকারবারিদের মধ্যে হুড়োহুড়ি, চারদিক থেকে ঘিরে ধরে দল।

রাত ১০টার দিকে অভিযানকারী দল তান্ডদিহ গ্রামে প্রবেশ করে। পুলিশের গাড়ির শব্দ শোনা মাত্রই মদ মাফিয়ারা ছুটতে থাকে। কেউ বাসা থেকে বেরিয়ে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, আবার কেউ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে পুলিশের দল ইতিমধ্যেই অবরোধ করে রেখেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাচারকারীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এর পর পুলিশ কুমার চন্দনের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে, যা এই নেটওয়ার্কের মূল কেন্দ্র বলে জানা গেছে। তল্লাশি চলতেই একের পর এক মদের কার্টন পাওয়া গেল। রুম, স্টোর রুম, বাড়ির পাশে তৈরি ছোট কুঁড়েঘর- সবখানেই বাক্সের স্তূপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ যখন তাদের গণনা শুরু করে, তখন পরিসংখ্যানটি চমকপ্রদ ছিল- 8 পিএম ব্র্যান্ডের 160 বাক্স (7680 বোতল), স্টার গোল্ড ব্র্যান্ডের 172 বাক্স (8256 বোতল), এ ছাড়া পরসাটারি গ্রাম থেকে 25 বাক্স নকল বিদেশী মদের মোট 15,936 বোতল উদ্ধার করা হয়। শুধু তাই নয়, পুলিশ সেখানে নকল মদ তৈরিতে ব্যবহৃত স্টিকার, ঢাকনা, সিল এবং প্যাকিং সামগ্রীও খুঁজে পেয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে এই দলটি কেবল মদ পাচার করে না, এখানে নকল মদের প্যাকেজিংও করা হয়েছিল। ধৃত চোরাকারবারিদের কাছ থেকে জব্দ করা গাড়িগুলি বিহারে পাঠানো মদের গাড়িগুলির মধ্যে ছিল। এই যানগুলো নিম্নরূপ-

বৃশ্চিক — BR 06 PE 8842

সুইফট ডিজায়ার — JH01 EP 3227

Datsun GO Plus — BR 01 PM 6881

নিসান টেরানো — JH01 BF 7726

এসব যানবাহনে অনেক জাল নম্বর প্লেটও পাওয়া গেছে, যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় পুলিশের নজরদারি ফাঁকি দিয়ে এই চক্রটি ক্রমাগত মাদক পাচার করে। উদ্ধার হওয়া যানবাহন থেকে অনেক মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে, যাতে চ্যাট, কল রেকর্ড এবং রুট ম্যাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। এ অভিযানে চুন্নু কুমার, কুমার চন্দন, রণবিজয় কুমার সিং, মো. গ্রেফতার করা হয়েছে আসলাম আনসারি, দীপক কুমার মাহাতো, রবিন মাহাতো, আরমান আনসারি, প্রবীণ কুমার মাহাতোকে। তারা সবাই বিভিন্ন জেলার সাথে জড়িত এবং একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে কাজ করছিল। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল এবং চোরাকারবারিদের প্রভাব অনেক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(ইনপুট অজয় ​​ঠাকুর)

—- শেষ —-

[ad_2]

Source link

Leave a Comment